শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আয়োজিত এক এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে ‘গৌরব৭১’ এ জাগরণ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় তিনি মৌলবাদী শক্তিকে রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া সারাদেশে মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিতে জনপ্রতিনিধিদের রাখার দাবি জানিয়েছেন এই সংসদ সদস্য।
মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, ‘জামাতের আরেকটি রূপ এই হেফাজত। তারা আজকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বাধা দিচ্ছে। চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য আছে সেটা নিয়ে কেউ কোনো দিন কথা বলেনি। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য আছে যেখানে ইতিহাসের নানান দিক রয়েছে। সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে প্রতিবাদ করার দুঃসাহস মামুনুল হকরা কীভাবে পান?’
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘মামুনুল হকদের পিছনে পাকিস্তানের পরাজিত শক্তির হাত রয়েছে। আমি একটি কথা বলতে পারি, আমরা স্বাধীনতার নতুন প্রজন্ম নেমেছি মৌলবাদীর বিরুদ্ধে। আজকে আমাদের এই প্রজন্মের সময় এসেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার। আমরা ৯ মাস নয় ছয় মাসের মধ্যে জয় ছিনিয়ে আনবো।’
যুবলীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘মাদ্রাসায় ছোট ছোট শিশুদের ভর্তি করা হয় ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য। কিন্তু তাদের ব্যবহার করে মামুনুলরা। আমি সরকারকে অনুরোধ করবো দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়ের মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি করে দেন এবং কমিটিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে স্থান দেন। তারা দেখবে কীভাবে মাদ্রাসাগুলোতে এত টাকা আসে। কীভাবে তারা টাকা পায় এবং বিদেশি অর্থ, পাকিস্তানি অর্থ কীভাবে আসে। আমরা বার বার আন্দোলনের উদ্যোগ নিই, কিন্তু থেমে যাই। এবার আমরা বাংলাদেশকে মৌলবাদীমুক্ত করে ছাড়বো।’
ধর্ম ব্যবসার নামে সারাদেশে মামুনুল হকরা জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে জানিয়ে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম, আপনাদের ইসলাম হেফাজত করার দায়িত্ব কে দিয়েছে? ধর্মের ব্যবসার নামে তারা দেশে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে। দেশে তাণ্ডব করেছে। হেফাজতের সাথে কিসের কম্প্রোমাইজ? তারা কি চেঞ্জ হবে? না তারা চেঞ্জ হবে না, তাদেরকে আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে। এই অশুভ শক্তির সাথে কোনো সমঝোতা করা যাবে না।’
সংগঠনের সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় জাগরণ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ডা. নুজহাত চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমাবেশে যোগ দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মাসুম হাওলাদার
বার্তা অফিসঃ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এর নিচতলা বাগেরহাট সদর, বাগেরহাট।
মোবাইলঃ ০১৮৩৪-১১২২২২
ই-মেইলঃ uttalsangbad@gmail.com, press24masum@gmail.com
উত্তাল সংবাদ ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।