বৃহঃ. এপ্রি ২৫, ২০২৪

 

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রেখে বিপাকে বিএনপি নেতা, সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী.

গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হবার ঘটনায় গত ২ আগষ্ট বিকাল ৪টার দিকে বাগেরহাট শহরের সুরুইস্থ বিএনপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির একটি অংশ। ওই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রেখে বিপাকে পরেছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম।

বিক্ষোভ সমাবেশে মোজাফ্ফর রহমান আলম বলেন, ভোলা জেলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আঃ রহিমকে হত্যা করার বিষয়টি একটি দূর্ঘটনা। এসময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু, ইতিপূর্বে কখোনই এ ধরনের ঘটনা নাই। আমি মনে করি ভোলার ঘটনা একটি দূর্ঘটনা। আমি আশা করি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কখনোই দুরত্ব সৃষ্টি হবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে এমন বক্তব্যের পর আলোচনা-সমোলচনার ঝড় ওঠে বাগেরহাট জেলা বিএনপির অপর অংশের মধ্যে। তারা মোজাফ্ফর রহমান আলমের বহিস্কার ও ওই সভায় উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদ না করায় তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানাগেছে। বিবৃতিতে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এ.টি.এম আকরাম হোসেন তালিম, যুগ্ম আহবায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ নাসির আহম্মেদ মালেক, সরদার অহিদুল ইসলাম পল্টু, ব্যারিস্টার শেখ মোঃ জাকির হোসেন ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সরদার লিয়াকত আলীসহ জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।

তবে বক্তব্যটি এমন নয় দাবী করে মোজাফ্ফর রহমান আলম বলেন, নিজেদের মধ্যে কোন্দলে বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন দুই ভাগে বিভক্ত। বক্তব্য দেয়ার সময় মুখ ফসকে একটা কথা বের হয়ে গেছে। সেটাকে টার্গেট করে বিএনপির অপর অংশের নেতাকর্মীরা অহেতুক মিথ্যাচার করছে। আমাকে আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে ফেলছে। অথচ ভোলার ঘটনায় তো আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পেরেছি, তারা তো সেটাও করতে পারেনি। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে বিএনপি করছি। দলের সু-দিনে ছিলাম দূরদিনেও আছি, আগামীতেও দলের সাথে থাকবো।#

 

 

 

মামুন আহমেদ

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *