বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
“এই নাম্বারে ফোন করি, ডাক্তার যাবে রোগীর বাড়ি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাগেরহাটে রোগীর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম চালু হয়েছে।বুধবার বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল চত্বরে এই ব্যতিক্রমি এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক।
এসময়, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার রিজাউল করিম, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীব বকসি, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মিরাজুল করিম, বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস ছেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ব্যতিক্রমী এই স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের অধীনে চারটি টিম থাকবে।বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মিরাজুল করিম এই টিম পরিচালনা করবেন।কোন রোগী যদি হাসপাতালে আসতে ভয় পান তাহলে ০১৭৩০-৩২৪৭৯৭ এই নাম্বারে ফোন করলে চিকিৎসক টিম চলে যাবেন রোগীর বাড়িতে।রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ ও ঔষধ প্রদান করা করবেন চিকিৎসকরা।তবে কোন রোগীকে যদি হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ওই গাড়িতে করেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। ব্যতিক্রমী এই চিকিৎসা সেবা চালু করায় সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন ও জনপ্রতিনিধিরা।
এই কার্যক্রমের আওতায় আপতত বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার মানুস বাড়িতে বসে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহনের সুযোগ পাবেন। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উপজেলায় এই সেবা চালু করার হবে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক বলেন, এই০১৭৩০-৩২৪৭৯৭ নম্বরে ফোন করি, ডাক্তার যাবে রোগীর বাড়ি। এর মানে হচ্ছে ওই নাম্বারে ফোন করা হলে ডাক্তার রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দিয়ে আসবেন। এটা বাগেরহাটবাসীর জন্য একটি বড় অর্জন।বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউনের ফলে যানচলাচল সীমিত করা হয়েছে। যার ফলে অনেক রোগী হাসপাতালে আসতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার উদ্য্গো নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই রোগী একদিকে বাড়িতে বসে চিকিৎসা পাবেন। তিনি যদি সংক্রমিত হয়েও থাকেন, তার মাধ্যমে আর কারও মাঝে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে না। এই উদ্যোগের ফলে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাবেন এবং করোনা সংক্রমন রোধেও ভূমিকা রাখবে।