বৃহঃ. মার্চ ২৮, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের দুই বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ ঘুরে অভিভূত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলীর নেতৃত্বে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে১৫টি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা সুন্দরবন ভ্রমন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজে আসেন। এসময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান পর্যটকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খানম মিতা, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মোঃ জায়েদ, ষারগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ পরিদর্শন শেষে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাটের অন্যমত নিদর্শন। সম্প্রতি প্রকাশিত জলবায়ু ঝঁকিতে থাকা সাংস্কৃতিকভাবে উল্লেখযোগ্য বিশ্বের ২৫টি ঐতিহ্যের তালিকায় নাম এসেছে ‘মসজিদের শহর বাগেরহাটে’র।এটা আমাদের গর্ব।
বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া মহাসড়কের কারণে ষাটগম্বুজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঐতিহ্য যদি রাস্তার (মহাসড়কের) কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়, অবশ্যই এই রাস্তা সরে যাবে। কিছুতেই এই ঐতিহাসিক স্থাপনা নষ্ট করতে দেওয়া যাবেনা। এ বিষয়ে আমাদের সরকার প্রতিশ্রতিবদ্ধ। প্রয়োজনের হাইওয়ে অন্যদিক দিয়ে যাবে। কোন ভাবেই পুরাকীর্তি ও প্রতœতত্ত্ব নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী আরও বলেন, বাগেরহাটের লোকজন অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। বিশ্ব ঐতিহ্যের বড় দুটি স্থানই পড়েছে বাগেরহাটে। একটি সুন্দরবন, অন্যটি ষাটগম্বুজ মসজিদসহ খানজাহানের অন্যান্য স্থাপনা। আমাদের সাথে আজ এখানে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দুটি সংস্থার প্রতিনিধি এসেছেন। তারা সবাই আমাদের দেশের এই প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
আমরা আমাদের এই ঐতিহ্য সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছি। যার অংশ হিসেবেই এই ট্যুর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা বলেছে, তারা তাদের দেশের পর্যকটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়ে উৎসাহি করবেন।
প্রতিনিধি দলে ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইতালি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ করিয়া, ফিলিপিন, নেপাল, পাকিস্থানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ২ দুটি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাগেরহাটের মোংলা দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট যাদুঘর ঘুরে দেখেন।
প্রতিনিধি দলে থাকা ঢাকায় কর্মরত নেপাল অ্যাম্বাসির কুমার রায় বলেন, বাংলাদেশের ষাটগম্বুজ মসজিদের ঘূরতে এসে আমি মূগ্ধ হয়েছি। এটার স্থাপত্য শৈলী অসাধারণ। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি। তবে এই মসজিদের স্বতন্ত্র স্থাপত্য শৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ। আমি বিশ্বের সকল পর্যটকদের অনুরোধ করবো এই স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখার জন্য।

ssn

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *