বৃহঃ. এপ্রি ২৫, ২০২৪

উত্তাল সংবাদ ডেস্কঃ

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে  মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির  সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যার মহাযঞ্জ চলছে এটা যদি রোধ করতে না পারি তাহলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়া শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। অমুক্তিযোদ্ধারা নানা অসদুপায়ে মুক্তিিযোদ্ধা বনে গিয়ে এমপি মন্ত্রী হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন না করেও যারা মুক্তিিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে, অনতিবিলম্ব আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হোক। আসন্ন মুক্তিিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে মুক্তিিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ব্যানার ব্যবহারকরে কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করা যাবেনা মর্মে সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের অবগত করেন তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে করতে পারবেন বলে জানান ।সভাপতি মেহেদী হাসা তিনি আরো বলেন
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু ছোট বেলা থেকেই অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক হয়ে ওঠেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়ে গেছেন একটি স্বাধীন দেশ, একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড ও লাল সবুজ পতাকা.সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির  সভাপতি মেহেদী হাসান তিনি অরো বলেন বঙ্গবন্ধু শুধু দেশকে স্বাধীন করেই ক্ষ্যান্ত হননি। দেশের মানুষ যাতে সুখে-শান্তিতে থাকে এ জন্য তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখে ছিলেন এবং সেই লক্ষ্যে যখন কাজ শুরু করেন তখন জিয়াউর রহমানের মদদে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু নাম মুছে দিতে এবং অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাত করতে ৭৫’র ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী উত্তরসূরী জামায়াত-বিএনপি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখে ছিল। সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছিল। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেছে।আগামী ১৫ সেপটম্বর এর মধ্যে পিরোজপুর জেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নি্র্দেশ দেন সভাপতি মেহেদী হাসান।
পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর আহবায়ক রেজাউল করিম সিকদার মন্টুর সভাপতিত্বে । বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চৌধুরী রওশন ইসলাম,কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর সাংস্কৃতি সম্পাদক আসলাম শিকদার  নয়ন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সমীর কুমার বাচ্চু, দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম রায় চৌধুরী।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম  এর সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যুগ্ন আহবায়ক  আবু সাইদ মোঃ নাইম, সদর উপজেলা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, জেলা কোষাধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় জেলা ও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *