বুধবার নগরের জেলা পরিষদের সামনে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। শুধু তাই নয় হাজী মোহাম্মাদ মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট, নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, রূপাতলী বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, সদর রোডসহ বরিশাল নগরের বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত ও মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচা-কেনার তীব্র ভিড়। মানুষকে ঈদ বাজারের মতো আগ্রহ নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে দেখা গেছে। ভিড়ের কারণে দামাদামি ও যাচাই বাছাই করে কেনার সুযোগ অনেকটা কম পাচ্ছে ক্রেতারা। শুধু শীতের কাপড় পছন্দ হলেই একদাম কিনছে। কালেক্টরের সামনে ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ী সালাম বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে সারা বছর আবার এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান। অপর এক ব্যবসায়ী শহিদ বলেন, গত বছরও শীতবস্ত্রের মার্কেট জমজমাট ছিল। তবে এবার শীত আসতেই ক্রেতারা আগে ভাগে শীতের কাপড় কিনে নিচ্ছেন।
পলাশপুরের বাসিন্দা ক্রেতা সাহিদা বেগম বলেন, শীতের প্রভাব বেশি পড়ার আগেই এবার শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে আসছি। তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের ভরসা। অন্যদিকে জর্ডন রোড এলাকার বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, শীত শুরুর আগেই মার্কেটে ভিড়। মানুষের ভিড়ের কারণে দোকানেই ঢোকা যাচ্ছে না। দরদাম করে কেনাতো পরের কথা। তার পরও একটু আগে ভাগে কিনতে আসলাম। না হলে পরে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে। সরেজমিন মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শীত বস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচা-কেনা হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের ও হাতের মোজা, মাপলার, সুয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জির দোকানেই বেশি ভিড় দেখা গেছে। মহসিন মার্কেট ও সিটি মার্কেটের কম্বল দোকানগুলোতেও তীব্র ভিড় দেখা গেছে। শীত বস্ত্রের দোকানে ক্রেতার ভিড় বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে বিক্রেতারাও অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছে ক্রেতারা। বরিশাল সদর উপজেলার সাবেরহাট থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সামনে ফুটপাতে দোকানে শীতবস্ত্র কিনতে আসা নুর-জাহান বেগম বলেন, বাচ্চাদের শীতের কাপড় আগে যেটা ১২০-১৫০ টাকায় কেনা যেত এখন সেটা কিনতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা দিয়ে। তিনি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি পণ্যের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। সিটি করপোরেশনের আশপাশের পোশাকের দোকানে অনেকেই কিনছেন শীতের পোশাক। বিক্রেতারা বসেছেন গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে। নগরীর আনাচে-কানাচে ঘুরে ভ্যান গাড়িতে করে যারা শীতের পোশাক বিক্রি করছেন তাদের ব্যবসাও জমজমাট। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর শীত বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সাধারণ জনগণ।##
an,bg