শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪

উত্তাল সংবাদ ডেস্কঃ

দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী।

বস্তিতে বসবাস করা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবারও ঘরে ফেরা কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩০০ বস্তিবাসী পরিবারের কাছে ভাড়ার ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বস্তিতে বসবাস করা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবারও ঘরে ফেরা কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩০০ বস্তিবাসী পরিবারের কাছে ভাড়ার ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বস্তিতে বাস করা কেউ ঘরে ফিরতে চাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর দেব। ছয় মাস যেন তারা চলতে পারে সে ব্যবস্থাও করব। ঘরে ফেরা কর্মসূচি আবার শুরু করব।

‘আর যারা ঢাকায় থাকছে তারা ভাড়া দিয়ে থাকবে।  বস্তিতে ভাড়া দিয়েই তো থাকতে হয়।  নানা অসুবিধায় থাকতে হয়। মাসে, সপ্তাহে, দিনে ভাড়া দিতে পারবে এভাবেই ফ্ল্যাটগুলো করেছি, যাতে সুস্থ্য পরিবেশে থাকতে পারে। যারা বস্তির মধ্যে আছেন তাদের জন্য ভালো আবাসন আমরা করে দেব।’

রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনে ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে এ প্রকল্প। এখানে ১৪ তলার পাঁচটি ভবনে ৫৩৩টি আধুনিক ফ্ল্যাট তৈরি করা হচ্ছে। লিফট, জেনারেটর, সৌরবিদ্যুৎ, প্রশস্ত ওয়াকওয়ে, বিদ্যুতের সাবস্টেশন ও সৌন্দর্যবর্ধনের লাইটিংসহ আধুনিকতায় সমৃদ্ধ করা হচ্ছে জায়গাটি। দেশে বস্তিবাসীদের নিয়ে এমন উন্নত বাসস্থানের চিন্তা এটিই প্রথম। গত রোববার দুপুরে লটারির মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

প্রতিটি ফ্ল্যাটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া এর সঙ্গে যুক্ত হবে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও অন্য সার্ভিস চার্জ। সেটি কত তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৭৩ বর্গফুট। এক একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি ড্রয়িং রুম, বেসিন, রান্নাঘর ও দুটি বাথরুম। দুপাশে ফাঁকা জায়গা। পেছনের দিকে বেড়িবাঁধ অংশের খাল। সামনে প্রশস্ত সড়ক।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, পুরো প্রকল্পে জমির পরিমাণ ছয় বিঘা। এই জমিতে আগে বস্তি ছিল। ২০১৭ সালে তা ভেঙে ফেলা হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঢাকায় নির্মিত ২ হাজার ৪৭৪টি ফ্ল্যাটের পাঁচটি আবাসন প্রকল্প এবং মাদারীপুরে নির্মিত সমন্বিত অফিস ভবনও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *