বৃহঃ. এপ্রি ২৫, ২০২৪

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আখচাষ করে ইতোমধ্যে অনেক চাষি স্বাবলম্বী,

পটুুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড় ডাকুয়া গ্রামের আখচাষি জাফর মাল। তিনি ১২০ শতাংশ জমিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করে আখের ক্ষেত করেছেন। তার ক্ষেতের আখ এখন বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে উঠেছে। এবার ক্ষেত থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জাফর মাল। তার দেখাদেখি জয়নাল মাল ৩০ শতাংশ জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই লাখ টাকার আখ বিক্রি করার চিন্তা করছেন। এছাড়া কবির মোল্লা ১৮০ শতাংশ জমিতে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। আখ চাষ করার মৌসুম হিসেবে বছরের অক্টোবর-এপ্রিল (কার্তিক-চৈত্র) মাসকে বিবেচনায় নিয়ে থাকেন আখচষিরা। তবে এ সময়ে আগাম রোপন করাই উত্তম।  কারণ এ সময়ে রোপণ করলে আখ যথেষ্ট বৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ পায়। এবং আখের সঙ্গে অন্য ফসল চাষ করা যায়।

এছাড়া এক একটি আখ উচ্চতায় ১.৮৫-৩.৭২ মিটার পর্যন্ত এমনকি ৯.৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। গবেষণা মতে, প্রয়োজনের তুলনায় বাংলাদেশে চিনির উৎপাদন খুবই কম। এর প্রধান কারণ আখের কম উৎপাদন। অধিক উৎপাদনশীল আখের জাতের অভাবও আর একটি কারণ।

অন্যান্য কারণগুলো হলো উপযুক্ত সময়ের আগে বা পরে আখ কাটা, আখ মাটিতে পড়ে শুকিয়ে যাওয়া, চিনিকলে পৌঁছাতে বা গ্রহণ করতে বিলম্বিত হওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু আখ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে উঠে আধুনিক তথা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আখ চাষ করলে এদেশে প্রতি হেক্টরে ১৩৫-১৩৬ টন আখ উৎপাদন হতে পারে।

an.bg

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *