উত্তাল সংবাদ ডেস্কঃ

 তিস্তার বালুচরের ১০ কিলোমিটার পথ হেঁটে প্রকল্প দেখতে গেলেন লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক (ডিসি) আবু জাফর।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের তিস্তা চরের তিনটি ওয়ার্ডে বাস্তাবায়িত প্রকল্প মুজিব কেল্লাহ নির্মাণ এবং স্ট্যান লাইড ও সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্প পরির্দশনে যান তিনি।

এসময় তিস্তার বুকে জেগে ওঠা বালুচরে কৃষকদের আগাম ফসল দেখে মুগ্ধ হন জেলা প্রসাশক। ৪ ঘণ্টা তিস্তার চরে থেকে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে বিকেল ৫টায় লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা করেন তিনি।

উপজেলা সিন্দুর্না ইউনিয়নের চর সিন্দুর্না গ্রামের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের চরবাসীর জন্য প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বাস্তবায়ন প্রকল্পের লক্ষ্যে তিস্তার চরের প্রতিটি বাড়ির সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্প পরির্দশন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি।

ওইদিন লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক আবু জাফর প্রায় ১০ কিলোমিটার বালুচরে পায়ে হেঁটে চর এলাকার প্রতিটি বাড়ি গিয়ে সোলার সিস্টেম দেখেন এবং তাদের কথা শোনেন।

এ সময় তিনি বলেন, তিস্তার বাঁধ নির্মাণ হলে চরের মানুষের দুঃখ ঘুচবে। তিস্তার চরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হচ্ছে, এতে চরের কৃষকরা লাভবান হবেন।জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত মুজিব কেল্লাহ তিনতলা ভবন নির্মাণ এবং মুজিব ক্যাটেল সেট, স্ট্যান লাইড ও সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্প তিস্তার চরে নির্মিত হচ্ছে। নদীভাঙন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও চরাঞ্চলের জীবনমান উন্নয়নে স্বাস্থ্যসেবা, শিশুদের ঝরে পড়া রোধ নিয়েও জেলা প্রশাসক মতবিনিময় করেন।হাতীবান্ধা উপজেলা সিন্দুর্না ইউনিয়নের চর সিন্দুর্না গ্রামের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ৭১১ পরিবারে জন্য সোলার প্রদান করা হয়। এছাড়া চর অঞ্চলের জন্য ৫টি স্টান লাইড স্থাপন করা হয়।এ সময় লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক (ডিসি) আবু জাফরের সঙ্গে ছিলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ, সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরল আমিন, ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান, মফিজার রহমান ও গ্রাম পুলিশ।