বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ নিয়ে জেলা হাপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে অন্তত ১৯ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে
এছাড়া গত সপ্তাহে ৪৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সব মিলে এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে মানুষের তাদের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বাগেরহাট ২৫০ শয্যা রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী, গৃহিণী, মাইক্রোবাস চালকসহ নানা পেশার মানুষ রয়েছে। তবে হাসপাতালে থেকে অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। বর্তমানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে, তারা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে ঢাকা থেকে এসেছে। কেউ কেউ স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছে।
ঢাকায় মাইক্রোবাস চালাতেন সদর উপজেলার কাশেমপুরের মকবুল শেখ। সপ্তাহ খানেক আগে ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। জ্বর ভালো না হওয়ায় বাগেরহাটে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে জ্বর, গা ব্যথা ও বমি হয়। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেলেও কমেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। তাই বাড়িতে এসে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন কিছুটা ভালো।’
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাগেরহাট সদর উপজেলার রণবিজয়পুর গ্রামের মাহমুদা খানম বলেন, ‘কোথাও যাইনি। তারপরও কীভাবে আক্রান্ত হলাম বুঝতে পারছি না। তিন ধরে প্রচন্ড জ্বর, গা ব্যথা ও বমি রয়েছে। এখন একটু ভালো, আশা করি ভালো হয়ে যাব।’
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. জব্বার ফারুকী বলেন, বর্তমানে স্থানীয় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলা হাসপাতালে বর্তমানে ৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিস মশা প্রতিরোধ। এডিস মশা সাধারণত সূর্যোদয়ের আধাঘণ্টার মধ্যে এবং সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আধাঘণ্টা আগে কামড়াতে বেশি পছন্দ করে। এ সময়ে মশার কামড় থেকে সাবধান থাকতে হবে। ঘুমানোর আগে মশারি ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থান যেমন- ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, ডাবের পরিত্যক্ত খোসা, কনটেইনার, ব্যাটারির শেল, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, বাথরুমের কমোড, ঘরের অ্যাকুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে জমে থাকা পানি তিন থেকে পাঁচ দিন পরপর ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রচুর পানি খেতে হবে। সেই সঙ্গে ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাওয়ার স্যালাইনও উপকারী বলে জানান এই চিকিৎসক।#rj
আইন অপরাধ
আন্তর্জাতিক
আলোচিত
কোভিড-১৯
খুলনা বিভাগ
ফিচার
বাগেরহাট
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিরোনাম
সাক্ষাৎকার
সারাবাংলা
স্বাস্থ্য