বুধ. এপ্রি ২৪, ২০২৪

প্রতিনিধি বাগেরহাট।

তিন কোটি টাকার বেশি ক্ষতি,বাগেরহাটে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে অন্তত ৮ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্থ,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ লঘুচাপ, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ও টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে বাগেরহাটে অন্তত ৮ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে চাষীদের তিন কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঘেরের পাড়ে ও ক্ষেতে থাকা মৌসুমি সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়বে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে জানাযায়, রোববার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও জোয়ারে পানি বৃদ্ধির ফলে বাগেরহাটের সদর, রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য ঘের তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে। পানি জমে সবজি গাছের শিকর পচে গেছে। পানি কমার সাথে শিকর পচা গাছগুলো মারা যাবে। অনেক এলাকায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমন ধান। এই অবস্থায় চরম ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সবজি ও মৎস্য চাষীরা।
সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকার চিংড়ি চাষী মুন্না শেখ বলেন, জোয়ারের পানিতে গ্রাম রক্ষা বাধ ভেঙ্গে আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমার দুই বিঘা ঘের তলিয়ে বাগদা ও গলদা চিংড়ি বেরিয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের রাকিব খান বলেন, ঝড় জলচ্ছাস আসলেই আমাদের ক্ষতি হয়। ধান ও মাছ চাষ করে আমাদের এলাকার মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে।এবারের পানিতে যেমন আমাদের ঘেরের মাছ চলে গেছে, তেমনি আমনের ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষী সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, বছরের প্রথমে মৌসুমের শুরুতে ভাইরাসে মড়ক লেগেছিল। কয়েকদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবেও অনেক ঘের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চিংড়ি চাষীদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রদানের দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম রাসেল বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় ৮ হাজার মৎস্য ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি যদি অব্যহত থাকে এই ক্ষতির পরিমান আরো বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

sn

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *