গাছির ছোঁয়ায় রসের প্রস্তুতি ,খেজুর গাছ সংরক্ষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে সব অঞ্চলে দেশি খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে
এতেকরে এক সময় খ্যাতি থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী এলাকার গাছি ইউনুচ আলী জানান, শীতকালে আগে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসতো গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীণ পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। এখন আর সেটি লক্ষ করা যায় না। একই এলাকার সুমন বিশ্বাস জানান, এবার ১০০ খেজুর গাছ তুলেছেন তিনি। এখান থেকে রস-গুড়, পাটালি বিক্রি করে ৫/৬ মাস সংসার চলে যাবে তার। এছাড়া গাছ তুলে যেসব খেজুরের পাতা পেয়েছেন। সেগুলো জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি খেজুর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরি করবেন তিনি। আর এগুলো বাজারে বিক্রিকরে বাড়তি অর্থ আয় করারও কথা জানান তিনি। কলারোয়া উপজেলার গাছি আমিনুর রহমান জানান, বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, তাতে এক সময় হয়তোবা আমাদের এলাকায় খেজুর গাছ থাকবে না। একারনে এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের সবার উচিত বেশি করে খেজুর গাছ লাগানো এবং তা যত্ন নিয়ে বড় করা।
an.bg