বুধ. এপ্রি ২৪, ২০২৪

 

বাগেরহাট প্রতিনিধি,

বাগেরহাট সদর উপজেলার সি এন্ড বি বাজার এলাকায় ফুটবল খেলার গোল নিয়ে বিরোধে মধুদিয়া ইছাময়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়দের হামলায় সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুলের অন্তত ২৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগে মধুদিয়া ইছাময়ি  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের বেশিরভাগকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং সোয়েব তরফদার নামের এক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলার অংশ হিসেবে স্থানীয় কিছু স্কুলের মধ্যে ফুটবল খেলা চলছে। বুধবার বিকেলে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় ইছাময়ি মধুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুল প্রতিদ্বন্দীতা করে। খেলার নির্ধারিত সময়ে দুই পক্ষের কেউ গোল দিতে না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে পৌছায় খেলা। ট্রাইব্রেকারের শেষ পর্যায়ে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। ট্রাইবেকারের শেষ শটে সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুল গোল দিলে তা না মেনেই মধুদিয়া ইছাময়ি  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উপর চড়াও হয়।

হাসপাতালে ভর্তি সোয়েব তরফদার বলেন, আজকে আমাদের ফাইনাল খেলা ছিল। শেষ ট্রাইবেকারে গোল দিয়ে আমরা জিতে যাই। কিন্তু এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই স্কুলের (ইছাময়ি মধুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়) শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ও স্থানীয় অনেকে মিলে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের সবাইকে তারা ইচ্ছামত মারধর করে। আমাকে লাথি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেয়।

উবায়দুল ইসলাম নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, খেলা শেষে কিছু বুঝে উঠার আগেই চারপাশ থেকে আমাদের উপর হামলা হয়। ছেলে-মেয়ে দেখাদেখি নেই, সায়েড়া মধুদিয়া নাম শুনলেই তারা আমাদের মারছিল। নাহিদ হাসান নামের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, খেলায় আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল। এটা বুঝতে পেরে বিরোধী দলের খেলোয়াড় ও তাদের স্থানীয় বড় ভাইয়েরা আমাদের উপর বাশ, রডসহ লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

মধুদিয়া ইছাময়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম মাসুদ বলেন, খেলা নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে আমরা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দেই। এতে কেউ আহত হয়েছে কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই।

সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপদে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। তারপরেও আমাদের কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাগেরহাট সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস.এম মোর্শেদ বলেন, মারধরের বিষয়টি আমরা শুনেছি। খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#

tn

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *