বুধ. এপ্রি ২৪, ২০২৪

উত্তাল সংবাদ ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুজিববর্ষের শেষের দিকে এসে নানাভাবে বিতর্ক তৈরি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রসঙ্গ টেনে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হচ্ছে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কোনভাবেই কোন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না। শনিবার দুপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক বই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতাদের হাতে তুলে দেন তিনি।প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব এমএ মজিদ, বিএফইউজে’র সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, , সাংবাদিকরা দেশের মানুষকে পথ দেখায়। আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেমন সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল তেমনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য মানুষের মনন তৈরি করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের লেখনী-পত্রিকার সংবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যারা সমাজকে পিছিয়ে দিতে চায়, যারা মধ্যযুগের সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তাদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিরুদ্ধেও আজ কলম নিয়ে সোচ্চার হবার সময় এসেছে।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে অতীতে বহুজন উদ্দীপ্ত করেছেন, স্বাধীনতার জন্য আহবান জানিয়েছেন, কিন্তু সফল হননি। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, যেখানে মানুষ নিজের প্রাণটাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, সেই প্রাণ বিসর্জন দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি শুধু বাঙালির ক্ষেত্রে নয়, পুরো বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এমন নেতা খুব কমই আছেন যারা মানুষকে এভাবে উদ্দীপ্ত করতে পেরেছেন নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে দেওয়ার জন্য। এজন্য বঙ্গবন্ধু একদিকে যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব ইতিহাসে সেরা নেতাদের মধ্যে একজন। তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নেতা নন, বঙ্গবন্ধু পুরো বিশ্বের সব বাঙালিদের নেতা। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে পাঠকের যাতে কোন বিরোধ সৃষ্টি হয়, সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছেন ১৯৭৪ সালে।  এরপর ৪৫ বছরের বেশি কেটে গেছে। এখন প্রেস কাউন্সিলের যে ক্ষমতা আছে সেটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুব বেশি কার্যকর নয়। সেজন্য প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের পর্যায়ে রয়েছে। সংশোধিত আইন আগামী পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হতে পারে। এ আইন পাশ হলে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা অনেক বাড়বে। এতে জনগণের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরাও প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হলে প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারবেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষ ধীরে ধীরে বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আগে কিশোর, শিশু যুবক ও বৃদ্ধদের বই পড়ার অভ্যাস ছিল। এখন সবাই সোশ্যাল মিডিয়াতে বুদ হয়ে থাকে, স্মার্ট ফোন নিয়ে বসে থাকে। বই পড়ার অভ্যাসটা আবারো ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মকে তাদের জীবন সংগ্রামে জয়ী হবার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। তাদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে হবে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *