বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দিজীবন কাটানো শেষে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে ফিরে যাচ্ছেন ৬১ জন ভারতীয় জেলে।
আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। পুলিশ প্রহারায় তাদেরকে বাসে মোংলায় বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সমুদ্রপথে ভারতীয় জেলেরা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে প্রথম দফায় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর কোষ্টগার্ড সদস্যরা ‘এফবি মা শিবানী’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৭ ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। এরপর কোষ্টগার্ড সদস্যরা ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ‘এফবি মঙ্গল চন্ডি – ৭’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী কোষ্টগার্ড সদস্যরা ‘এফবি সঙ দ্বীপ’ ও ‘এফবি সর্ণলতা’ নামের দুটি ফিশিং ট্রলারসহ আরো ২৮জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। তিন দফায় আটক ৬১ ভারতীয় জেলে এতোদিন বাগেরহাট কারাগারে আটক ছিলেন।
বাগেরহাট কারাগারের জেলার একে এ এম মাসুম জানান, আদালতের নিদেশে তিন দফায় ৬১ জন ভারতীয় নাগরিক কারাগারে আসেন। বাগেরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভারতীয় ওই জেলেদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে ভারতীয় ওই জেলেদের স্বদেশপ্রত্যাবর্তনের আদেশ দেয়।
মুক্তি পাওয়া ভারতীয় জেলেরা জানান, তাদের ট্রলার ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে। সীমারেখা বুঝতে না পারার কারণে বাংলাদেশ কেষ্টগার্ড সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে তারা বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দি ছিল।