শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪

 

 বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের একটি উপজেলা রামপাল। যখোনরে নদী ও খালে সব সময় লবন পানি বিরাজ কর।ে যার ফলে এই উপজলোয় চিংড়ি ছাড়া অন্য কোন ফসল তেমন ভাল হয় না। অধকিাংশ মৎস্য ঘেরের পাড় অনাবাদী পড়ে থাকে বছররে পর পর।  রামপালরে সন্নাসী হাজীপাড়া এলাকায় সৌদি খেজুর চাষ করে সারা ফেলেছেন বাগরেহাট জেলা জজ আদালতরে আইনজীবি দিহিদার জাকির হোসেন। দুই বছরইে ফলেএসেছে অনেক  গাছ।ে ১৫ একর মৎস্য ঘরেরে খামাররে কাততিে (বড়েবিাধ) এখন আড়াই হাজাররে মত গাছ রয়ছেে জাকরিরে। লবন পানরি এলাকায় সৌদি খজেুর চাষরে সফলতাকে র্অথনতৈকি মুক্তরি পথ ও কৃষি ক্ষত্রে ইতবিাচক হিসাবে দেখছেন কৃষি বিভাগ। স্থানীয়রা আশায় বুক বাঁধছনে ঘরেরে পাড়রে বড়েি উচু করে লাগাবনে সৌদি খজেুররে চারা।

বাগরেহাটরে রামপাল উপজেলার  সন্নাসী হাজীপাড়া এলাকায় ২০১৪ সালে পরকিল্পতি মৎস্য চাষরে উদ্যোগ নেন জন্য খামার করনে আইনজীবি দিহিদার জাকির হোসনে। ১৫ একর জমতিে ৯টি পুকুর খনন করনে। খননকৃত মাটতিে উচু হওয়া পুকুররে পাড়ে পপে,ে বড়ইসহ বভিন্নি ফলজ গাছ রোপন করনে। কন্তিু লবন পানি ও নানা রোগ বালাইয়ে কারণে এসব ফসলে তমেন ভাল করতে পারনেনি তনি।ি অন্যদকিে অতরিক্তি লবন পানরি কারণে ঘরেে গলদা বা র্কাপ জাতীয়  মাছ না হওয়ায় ভরসা থাকে শুধু বাগদায়। বছর তনিকে বাগদা চংিড়রি উৎপাদন ভাল হলওে, পররে মৌসুমে ভাইরাসরে কারণে বড় ধরণরে লোকসানে পড়নে তনি।ি ভাবতে থাকনে কি করবনে এত বড় জমতি।ে এক র্পযায়ে সৌদি খজেুর চাষরে বষিয়টি মাথায় আসে তার। ২০১৯ সালরে প্রথম দকিে ময়মনসংিহরে ভালুকা থকেে ২‘শ সৌদি খজেুররে চারা এনে রোপন করনে তনি।ি পরর্বতীতে নরসন্ধিি থকেে আরও একশ চারা আননে এই আইনজীব।ি র্বতমানে ৫০টি খজেুর গাছে ফল এসছে।ে এক বছররে মধ্যে অন্তত আরও দুইশ গাছে ফল দওেয়া শুরু হব।ে খজেুররে পাশাপাশি ভয়িতেনামি নারকলে, কয়কে প্রজাতরি আম, আমড়া, মাল্টাসহ বশেকছিু ফলরে চাষ করনে তনি।ি এর পাশাপাশি খামারে রয়ছেে ৩০টি দশেী গরু। এসব দখেভালরে জন্য এখানে রয়ছেে শহদিুল ইসলাম, শবিপদ ও লাল মাহমুদ নামরে তনি শ্রমকি। যারা র্সাবক্ষনকি দায়ত্বি পালন করনে এখান।ে

শ্রমকি শহদিুল ইসলাম বলনে, ২০১৯ সালরে প্রথম দকিে স্যার সৌদি খজেুররে চারা লাগালনে।বষিয়টি এলাকার মানুষ জানার পরে আমাদরে নয়িে ট্রল করত। স্যার পাগল বলে আমাদরেকে খপোত। কন্তিু স্যাররে নর্দিষেণা মোতাবকে সঠকি পরর্চিযার মাধ্যমে আমাদরে এখানে লাগানো প্রতটিি গাছ বঁেচে রয়ছে।ে আজ গাছে ফল এসছে।ে অনকেইে আসে দেখতে।ে প্রথম দকিে পাগল বললওে এখন সবাই স্যারকে বাহবা দয়ে। আমরা র্সাবক্ষনকি স্যাররে নর্দিশেনা মোতাবকে গাছরে গোড়ায় যবৈ স্যার, পানি ও বভিন্নি প্রকার ঔষধ দয়িে থাক।ি

আইনজীবি দহিদিার জাকরি হোসনে বলনে, মাছ এবং অন্যান্য ফল যখন ভাল হয়ন,ি তখন একধরণরে হতাশায় পড়ছেলিাম। ২০১৯ সালরে প্রথম দকিে রামপাল সৌদি খজেুর বাগান নাম দয়িে এই র্কাযক্রম শুরু কর।ি র্বতমানে আজোয়, মরয়িম, সুকার,ি আম্বার ও বারহি এই পাঁচ জাতরে খজেুর রয়ছেে আমার বাগান।ে ময়মনসংিহ ও নরসন্ধিি থকেে আনা ৩‘শ গাছরে পাশাপাশি আরও দুই হাজাররে উপরে চারা লাগয়িছে।ি যগেুলোর মধ্যে বচিি থকেে উৎপাদতি চারা ও অপশুট (কলম-খজেুর গাছ থকেে একধরণরে চারার মত বরে হয়, এগুলোকে বশিষে পদ্ধততিে নতুন চারা থরৈি করা হয়) রয়ছে।ে এগুলোতওে ফল আসব।ে এছাড়াও বচিরি তরৈি আরও ২ হাজার ৫‘শ চারা প্রস্তুত রয়ছেে আমার র্নাসারতি।ে আগামী এক বছররে মধ্যে বাগানরে অন্তত ২‘শ থকেে ৩শ গাছে খজেুর হওয়া শুরু করব।ে এবছরই অনকে গাছে ২৫ কজেি থকেে ৩৫ কজেি র্পযন্ত খজেুর পাব আমা করছ।ি সব মলিয়িে আগামী বছররে মধ্যে বাগান থকেে লাভে যতেে পারব।

স্থানীয় হাববিুর রহমান, লতফি, ছালামসহ কয়কেজন বলনে, প্রথম দকিে দহিদিার ভাইয়রে কাজ দখেে আমরা হতভাক হয়ছেলিাম। মনে হচ্ছলি, টাকার গরমে যা ইচ্ছে তাই করছ।ে কন্তিু এখন বুঝতছেি তনিি অনকে দূরর্দশী মানুষ। আমরা চন্তিা করছি একটু কায়দা করে নজিদেরে ঘরেরে পাড়ওে লাগাবো সৌদি খজেুর।

সৌদি খজেুর চাষরে চ্যালঞ্জে সর্ম্পকে জাকরি হোসনে বলনে, এটি যহেতেু মরুভূমরি গাছ, যার ফলে আমাদরে এই অঞ্চলে খাপ খাওয়াতে একটু বগে পতেে হয়। গাছরে গোড়ায় একটা নর্দিষ্টি পরমিান পানি দতিে হয়, পানি কম হলওে বাঁচবে না, আবার বশেি হলে পচে যাব।ে এর সাথে রয়ছেে বভিন্নি রোগ বালাইয়রে প্রার্দূভাব। নারকলে ও শুপারি গাছরে নতুন রোগ হোয়াইট ফ্লাই ও শূতমিূলরে আক্রমনটা বড় বয় এই খজেুর গাছরে। এ জন্য সব সময় খয়োল রাখতে হয়।  প্রয়োজনীয় কটিনাশক ব্যবহার করতে হয়। এর সাথে রয়ছেে ইদুররে জ্বালাতন। খুেজুর গাছরে শকির কটেে দয়ে, আবার ফলও কাট।ে ইদুররে জন্যও আমাদরে সর্তক থাকতে হয়।

নতুন কউে চাষীদরে সর্ম্পকে জাকরি হোসনে বলনে, কলম এবং বচিি দুইভাবইে সৌদি খজেুররে চারা তরৈি হয়। এই বচিরি চারার বশেরিভাগ পুরুষ হয়ে যায়। যার ফলে ফল আসে না। তাই নতুন যারা শুরু করবে তাদরেকে কলম (অপ শুট)‘র চারা ক্রয়রে জন্য পরার্মশ দেনতিনি।

বাগরেহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধদিপ্তররে উপ-পরচিালক কৃষবিদি মোঃ শফিকুল  ইসলাম বলনে, সৌদি খজেুর মরুভূমরি ফসল। আপত দৃষ্টতিে দহিদিার জাকরি হোসনে এই খজেুর চাষে সফলতা পেয়েছেন। এখন তবে এই  খজেুররে স্বাদ, পুষ্টগিুন ও উৎপাদনরে পরমিান ঠকি থাকলে লবনাক্ত পানি অধুষ্যতি এলাকার জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হব।ে তার এই উদ্যোগকে আরও বশেি সফল করার জন্য কৃষি বভিাগরে পক্ষ থকেে প্রয়োজনীয় পরার্মশ ও কারগিরি সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

 

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *