বৃহঃ. এপ্রি ২৫, ২০২৪

 

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কবলে জেলেরা.

বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মৌসুমের শেষ মুহূর্তে এসে লঘুচাপের কবলে বিপাকে পড়েছে জেলেরা। উত্তাল ঢেউয়ের কারণে টিকতে না পেরে সাগর ছাড়তে বাধ্য হন তারা। দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার ফিশিং ট্রলার রবিবার বিকেল থেকে ঘাটে ফিরতে শুরু করে। গত দুদিনে বাগেরহাটের কেবি ফিসারীঘাট, শরণখোলা, মোংলা ও রামপালের শত-শত ফিশিং ট্রলার নিরাপদে ঘাটে ফিরে এসেছে।
কিছু ট্রলার সুন্দরবনের দুবলা, কটকা, মেহেরআলীর চর ও কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সাগর উত্তাল থাকায় ফিশিং ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে না থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী জানান, মৌসুমের শেষ দিকে এসে সাগরে ইলিশ পড়তে শুরু করায় তারা সারা বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এরই মধ্যে সাগর অশান্ত হয়ে ওঠায় তারা আবার হতাশ হয়েছেন। দু-একদিনে আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে মারাত্মক ক্ষতি হবে তাদের।
শরণখোলা মৎস্য আড়তদার সমিতির আহ্বায়ক মো. সরোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে তার এফবি সোনার মদিনা ট্রলার ৬৫ মণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফেরে। সারা মৌসুমে এটাই তার বড় চালান। এফবি খয়রুল ইসলাম ট্রলারের মালিক মো. কবির আড়তদার জানান, তার ট্রলারেও ৩২ মণ ইলিশ পায়। চলতি সপ্তাহে এভাবে সবার ট্রলারই আশানুরূপ ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে সবাই।
বাগেরহাট জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় উপকূলের সকল জেলে সাগর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। বাগেরহাট জেলার ৭ শতাধিক ফিশিং ট্রলারের বেশিরভাগই বাগেরহাটের কেবি ফিসারীঘাট, মোংলা, রামপাল ও শরণখোলার রায়েন্দা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, রাজেস্বর, খোন্তাকাটা, তাফালবাড়ী ঘাটে অবস্থান করছে।
কিছু ট্রলার সুন্দরবনের দুবলা, কটকা, মেহেরআলীর চর ও কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে আশ্রয় নিয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই কয়েক দফা দুর্যোগ এবং ইলিশ না পাওয়ায় জেলে-মহাজনরা দেনাগ্রস্ত। শেষ সময় এসে আবার বৈরী আবহাওয়ায় ইলিশ আহরণ খাত চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে হতাশা প্রকাশ করেন এই মৎস্যজীবী নেতা।

rj

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *