বৃহঃ. এপ্রি ২৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক উত্তাল সংবাদ।

 

 

জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ২০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন সম্পন্ন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয়  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি তার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন সুচনা করনে। আলোচনা সভার পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এর পর সম্প্রীতির শোভাযাত্রা জাতীয় সংসদ ভবন দক্ষিণ প্লাজা, মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ হতে ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সংগঠনটির নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ও শপথ বাক্য পাঠ করেন।

 

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা চান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরবর্তি প্রজন্মদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ দিতে হবে। বুধবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ২০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিব নগর সরকারের গার্ড অফ অনার প্রদানকারী ও মুক্তিযুদ্ধের ৮ নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম (এসপি মাহবুব)।পরিচালনায়  মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের  কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম রেজা, অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সেক্টরস কমান্ডার ফোরম ‘৭১ এর যুগ্ম মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ মিয়া, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোঃ শহিদুল ইসলাম,  ২০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মাসুদ রানাসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির ও মহানগর এর নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন,

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা বাতিল করা মোটেই সমীচীন হয়নি। সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার প্রত্যাশায় আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। সে সুন্দর সমজা এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। দেশে এখন ধর্মীয় সম্প্রীতির বড়ই অভাব। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা দিতে না পারা। জাতির জনকের আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, অথচ দেশ স্বাধীনের পর আমরা তাকেই রক্ষা করতে পারিনি। তিনি প্রশাসন থেকে সব পর্যায়ে মুযক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মদের সম্মান ও মর্যাদা দেয়ার আহবান জানান। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন কেন্দ্রীয় কমিটি সহ  সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সারা বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের এই বিশাল কর্মসূচির সফলতার কৃতিত্ব বাংলাদেশে প্রতিটি মহানগর, জেলা, উপজেলা থানাসহ বিশ্বের সকল স্বাধীনতার স্বপক্ষের মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম এবং প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা রইল আগত সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা,প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট এবং উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

mhd ssnk

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *