বৃহঃ. এপ্রি ২৫, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের কচুয়ায় জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে করে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর, নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করেছে দূবৃর্ত্তরা। শনিবার (০১ জানুয়রি) গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য সৈয়দ আলী শেখের বাড়িতে ৫-৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল এই লুটের ঘটনা ঘটায়। এসময় সংঘবদ্ধ দলটি সৈয়দ আলী ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের চেতনা নাশক স্প্রেতে অচেতন হয়ে যায় বৃদ্ধ দম্পতি। পরবর্তীতে সৈয়দ আলীর আলমিরাতে রাখা মেয়ে ও নাতনীর ৯ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ দেড় লক্ষ টাকা লুটে নেয় তারা। রবিবার (২ জানুয়ারি) সকালে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃদ্ধ সৈয়দ আলী শেখের জ্ঞান ফিরলেও, অচেতন অবস্থায় রয়েছে স্ত্রী মর্জিনা বেগম।
বৃদ্ধ সৈয়দ আলী শেখের একমাত্র মেয়ে হিরাজী বেগম বলেন, সকালে আমার ছোট মেয়ে নানা বাড়িতে (সৈয়দ আলীর বাড়ি) গিয়ে দেখে সামনের জানালার রড খোলা। ভিতরে প্রবেশ করে দেখে বাবা-মা অচেতন অবস্থায় পরে আছেন। বিষয়টি আমাদেরকে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে বাবা-মাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সাইনবোর্ড ক্লিনিকে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বাবার জ্ঞান ফিরলেও মা এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।
হিরাজী বেগম আরও বলেন, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আমি।পাশের গ্রামে স্বামীর বাড়িতে থাকি আমি। যার ফলে আমাদের বাড়িতে শুধু বৃদ্ধ বাবা-মা-ই থাকেন। একটু নিরাপদ মনে হওয়ায় আমার মেয়েদের স্বর্নালংকার বাবার বাড়িতেই থাকত। হজ্বের জন্য জমানো বাবার দেড় লক্ষ টাকাও নিয়ে গেল ডাকাতরা। আমাদের বড় সর্বনাশ হয়ে গেল। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
বৃদ্ধ সৈয়দ আলী শেখের বরাত দিয়ে হিরাজী বেগম আরও বলেন, প্রতিদিনের মত রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বাবা-মা। গভীর রাতে জানালার রড ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ৫-৬ জনের একটি দল। প্রথমে তারা মারধর করে। তারা আমার বাবার ঘাড়েও কোপ দেয়। পরবর্তীতে চেতনা নাশক স্প্রে করে অচেতন করে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
কচুয়া থানার এসআই মোঃ শহর আলী বলেন, নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটের ঘটনা শুনে আমরা বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি পরিদর্শণ করেছি। বৃদ্ধের বাড়ির জানালার কাঠ ও রড বেশ পুরাতন। জানালার রড খুলে তারা ভিতরে প্রবেশ করেছে। বৃদ্ধ দম্পতি অচেতন অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ssn

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *